ব্রেকিং নিউজ
শিবচরে বন্যার পানি কমলেও ভাঙ্গন অব্যাহত

শিবচরে বন্যার পানি কমলেও ভাঙ্গন অব্যাহত

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মার পানি কমলেও কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন আব্যাহত আছে। এখনো নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বসতঘর ভেঙ্গে নৌকায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মাদারীপুরের শিবচরে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহ আগে থেকে পদ্মার পানি ক্রমশই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর গত ৫ দিন ধরে বন্যার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বুধবার সকাল থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করলে কয়েকটি এলাকায় পানি বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে। তবে, চরজানাজাত ও বন্দোরখোলা ইউনিয়নের বন্যার পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পদ্মার পানি কমলেও কয়েকটি এলাকায় ভাঙ্গন আব্যাহত আছে। এখনো নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা বসতঘর ভেঙ্গে নৌকায় তুলে নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে।
বুধবার দুপুরে বন্দোরখোলা ও মাদবরেরচর ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, মাদবরেরচর ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের সকল গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। এই এলাকার বাসিন্দারা গত ২০ দিন ধরে পানিবন্দি জীবন কাটাচ্ছে। উপজেলা শহরের সাথে সব ধরণের যোগাযোগের একাধিক সড়কও পানিতে তলিয়ে থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
মাদবরেরচর এলাকার পানিবন্দি পারভীন আক্তার বলেন, ‘ঘরে চাউল ডাইল নাই। চিড়া মুড়ি খাইয়া এইবেলা দিন পাড় করছি। কাইল কি খামু জানি না। আমাগো দিকে কেউ ফিরাও তাকায় নাই। খুব কষ্টে পোলাপাইন নিয়ে ঘরে থাকছি।’
মাদবরেরচর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য তাওহীদা নাসরিন বলেন, ‘বন্যায় বহু এলাকার সবজি বাগান ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। কাঁচা-পাকা রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষজন কাজ হারিয়ে খুব কষ্টে মানবেতর জীবন পাড় করছে। এসব এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে সরকারি সহযোগিতা পাঠানো প্রয়োজন।
জানতে চাইলে পানি উন্নয় বোর্ড মাদারীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, ‘ভাঙ্গন রোধে এ বছর আমাদের কাজ কম। করোনার কারণে এই অর্থ বছরে কাজ তেমন ভাবে আমরা শুরু করতে পারিনি। এরপরেও ভাঙ্গন কবলিত বন্দরখোলা ও সন্যাসীরচর এলাকায় আমরা জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

---------